
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

হাতিয়ার কুখ্যাত ডাকাত ফখরুল ইসলাম এর প্রধান সহযোগী নাসির উদ্দিন আটক

সরকারি শিশু পরিবারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন

ফটিকছড়িতে যুবদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ

জামালগঞ্জে তিন কেজি গাঁজাসহ চারজন গ্রেফতার

নগরকান্দা উপজেলার সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা

অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ তিনজন নিহত

নতুন বিসিবির অধীনে ক্রিকেটে দেশি কোচদের গুরুত্ব বেড়েছে
কুতুবদিয়া উপজেলাবাসীর কাজে আসছে না শহররক্ষা বেড়িবাঁধ

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলাবাসীর কাজে আসছে না শহররক্ষা বেড়িবাঁধ। উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ এ দ্বীপ উপজেলা রক্ষার জন্য ৭১ পোল্ডারের ৪০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য বিগত ২০ বছরে প্রায়ই ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু দলীয় লোকজন ঠিকাদার সেজে প্রকল্পের টাকা নয়ছয় ঘটিয়ে হরিলুট, রাষ্ট্রের অর্থের অপচয়-দুর্নীতির কারণে বরাবরই দুর্বল বাঁধ তৈরি হয়েছে। এর ফলে কোনো কাজে আসেনি এ বাঁধ।
জানা যায়, কুতুবদিয়া উপজেলায় প্রতি বছর বেড়িবাঁধ ভেঙে জলে ভাসতে হয় দ্বীপের মানুষকে। দুর্যোগ পরবর্তী সাময়িক ত্রাণসামগ্রী পেলেও হয়নি স্থায়ী কোন সমাধান। এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ারও সুযোগ থাকে না। তলিয়ে যায় বসতভিটা, ফসলি জমি, শাক-সবজির ক্ষেত। পানিতে ভেসে যায় মাছের ঘের, পুকুর। মানুষের পাশাপাশি দুর্ভোগ নেমে আসে গবাদি পশুর। বাঁধ ভাঙনের ফলে ছেড়ে দিতে হয় পূর্বপুরুষের কবরের জায়গাটুকুও।
বিগত ষাটের দশকে নির্মিত বেড়িবাঁধ জোড়াতালি দিয়ে এতদিন চলে আসলেও বর্তমান পরিস্থিতি আশংকাজনক। শক্তিশালী বেড়িবাঁধের অভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকে সব মৌসুমেই। বর্ষায় পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করে। এরমধ্যে, কুতুবদিয়া দ্বীপের তাবালেরচর, বায়ুবিদু্যৎ এলাকা,কাহারপাড়া, আনিচের ডেইল, উত্তর বড়ঘোপ, বিন্দাপাড়া, বাতিঘর এলাকা, কায়ছার বাপের পাড়া, চরধুরুং, পেয়ারাকাটা, ছিদ্দিক হাজির পাড়া, মলমচর এলাকায় বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেড়িবাঁধের বাইরে প্রায় পাঁচশ' পরিবার বসবাস করছে।
দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, 'কুতুবদিয়ার জন্য মরণফাদ হচ্ছে বেড়িবাঁধ। সেই ১৯৯১ সালের পর থেকে দেখে আসছি এখানে একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ হবে। আদৌ কুতুবদিয়ার চতুর্পাশে বেড়িবাঁধ হয়ে ওঠেনি। পাউবো শুকনো মৌসুমে কাজ করে না। তারা কাজ শুরু করে বর্ষা এলে। যার ফলে বর্ষাতেই মাটিগুলো বিলীন হয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি। অন্তবর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাই এই কুতুবদিয়ার সুপার ডাইকার জন্য বরাদ্দ দিয়ে অতি দ্রম্নত বেড়িবাঁধ বাস্তবায়ন যেন করা হয়।'
কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলন সভাপতি শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়েছে। প্রোডাকশনের জন্য কমপিস্নট বস্নক দেওয়া হয়। কিন্তু পানির উচ্চতা তার চেয়ে বেশি। আবার এর উপরে জিওটিউব বসানো হয়েছে। এগুলো আসলে অপরিকল্পিত। বেড়িবাঁধের উচ্চতা এবং কাজের মান বাড়াতে আহ্বান জানান সংগঠনের এ নেতা।
কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি জালাল আহমদ বলেন, 'প্রায় সময় দেখা যায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বর্ষায় কাজ শুরু করে। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে আমার মনে হয় না। আশা করবো আগামীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুকনা মৌসুমে শুরু করে বর্ষার আগে কাজ শেষ করা হোক।
পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-সহকারি প্রকৌশলী এলটন চাকমা বলেন, বাজেট চেয়েছিলাম। তবে এ বছর পাইনি। যদি পূর্ণ বাজেট পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো মেরামত করা হবে।
অন্যদিকে, সুপার ডাইকে রূপান্তর হোক দ্বীপের ৪০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, বাঁধের দুই পাশে বনায়ন ও দুর্নীতির পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণ হোক এমনটাই প্রত্যাশা দ্বীপের লক্ষাধিক মানুষের।