
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আন্দোলনরতদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা

দুস্থদের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

বেপরোয়া ঢাকার ৫০ থানার ওসির বেশিরভাগই এখনো বহাল তবিয়তে

এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ

শত বছর ধরে জেগে আছে সদরঘাট

বাজেটে প্রাধান্য গরিবের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি

অধ্যাদেশ জারি, এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাধা কোথায় জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের জোর প্রচেষ্টার পর ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নিতে তালিকা চূড়ান্ত করেছে মিয়ানমার সরকার। তবে ঠিক কবে নাগাদ এই রোহিঙ্গারা দেশে ফিরতে পারবেন তা নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। কেননা, রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেই মিয়ানমার জান্তার হাতে। রাজ্যটির বেশিরভাগ এলাকা এখন নিয়ন্ত্রণ করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। যারাই এখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পথে বড় বাধা, বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস ডে-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপদেষ্টা তৌহিদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এই বাধার কথা জানান। অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সংকটের কথাও উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানকে ‘দ্বিধাগ্রস্ততা’ হিসেবে অবহিত করেন। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে এই অগ্রগতির পথে একটি বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আরাকান আর্মি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত নয়, তাই আনুষ্ঠানিক আলোচনা সম্ভব নয়। তবুও, কোনও না কোনওভাবে তাদের সম্পৃক্ত না করে সংকটের সমাধান অসম্ভব।’ হোসেন জোর দিয়ে বলেন, স্বীকৃতি না পেলেও রাখাইনে আরাকান আর্মির উপস্থিতি ও প্রভাব রোহিঙ্গা সংকটের যেকোনো সামগ্রিক সমাধানে তাদের ভূমিকা অনিবার্য করে তুলেছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে স্মরণ করে প্রতি বছর ১৮ এপ্রিল ফরেন সার্ভিস দিবস পালন করা হয়, তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে কর্মরত একদল সাহসী বাঙালি কূটনীতিক প্রথম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং বেশ কয়েকজন সাবেক বাংলাদেশি কূটনীতিকও দিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তাদের সাহসী পদক্ষেপ জাতির স্বাধীনতার দিকে যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল এবং যা একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি স্থাপন করেছে। এই দিনটি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের স্বার্থকে এগিয়ে নিতে দেশের কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের সাহস, প্রতিশ্রুতি ও পেশাগত উৎকর্ষতার প্রতীক।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।