
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৩১ দফাই দেশের মানুষের মুক্তির সনদ: দুলু

চট্টগ্রামে চামড়া বিক্রি শুরু, লাভ নিয়ে শঙ্কায় আড়তদাররা

যমুনা সেতু এলাকায় ৩৫ কিলোমিটার যানজট

সীতাকুণ্ডে ঝরনায় নেমে পর্যটকের মৃত্যু

সুন্দরগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

যেখানে দাঁড়িয়ে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন মেজর জিয়া

কুমিল্লায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত
বাঁচতে চান জাহিদুল

জীবনের যে সময়ে একজন যুবক আগামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য ভবিষ্যত পরিকল্পনায় ব্যস্ত থাকেন, সে সময়ে জাহিদুল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবকের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার।
জটিল এক রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রামে হার মানতে চলেছেন জাহিদুল। তার সু-চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চান গুরুতর অসুস্থ জাহিদুল ইসলামের পরিবার।
জাহিদুল ইসলামের আত্মীয় নিশান খান জানান, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পুটল গ্রামের দরিদ্র পরিবারের যুবক জাহিদুল এক সময় স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে অন্যের বাড়িতে দিন মজুরের কাজ করতেন তিনি। জাহিদুল চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। বাবা দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। ৫ থেকে ৬ বছর আগে জাহিদুলের শরীরে চর্ম রোগ দেখা দেয়।পরে সারা শরীরে এলার্জি ফুটে গিয়ে জটিল আকার ধারণ করে। ইতোমধ্যে তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে এবং বাম চোখটিও নষ্ট হওয়ার পথে। পরিবারের সামর্থ্য এবং গ্রামবাসীদের সাহায্য নিয়ে ৩ লাখ টাকার মতো চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেছেন। চিকিৎসা খরচ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় বর্তমানে তাদের সামর্থ্যে বাইরে চলে গেছে।
জাহিদুলের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, ছেলের অসুস্থতা ধরা পড়ার পর প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছিল। এরপর রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আমাদের যা ছিল সব জাহিদুলের চিকিৎসায় ব্যয় করেছি। পরে গ্রামের মানুষ ও আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সে সহায়তা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তো তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে এবং বাম চোখটিও নষ্ট হওয়ার পথে। চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারলে হয়তো তার এ অবস্থা হতো না।
মোহাম্মদ আলী বলেন, চিকিৎসকরা বলেছেন, জাহিদুলকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে তার রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। কিন্তু তা অত্যন্ত ব্যয় সাপেক্ষ।
জাহিদুলের মা জায়েদা বেগম বলেন, আমার ছেলে বাঁচতে চায়। সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিকভাবে চলতে চায়। কিন্তু আমাদের পক্ষে তো চিকিৎসার খরচ বহন করা কোনোভাবে সম্ভব নয়। সমাজের সহানুভূতিশীল মানুষদের যদি পাশে পাই, তাহলে হয়তো আমার ছেলে আবার সুস্থ হবে।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে জাহিদুল বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন। কোনো ধরনের উপার্জন না থাকায় সংসারেও দেখা দিয়েছে অভাব-অনটন। পরিবারটি খুবই অর্থ সংকটে পড়েছে। ওই ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বড় অঙ্কের অর্থ, যা পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় জাহিদুলের পরিবার সমাজের হৃদয়বান, বিত্তবান ও সহানুভূতিশীল মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে। সহযোগিতা পাঠাতে যোগাযোগ করতে পারেন নিশান খান, মোবাইল (বিকাশ/নগদ) ০১৯৯৪-৭১০০৭২।