নোয়াখালীতে মাদরাসা ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

নোয়াখালীতে মাদরাসা ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ মে, ২০২৫ | ১০:৪৯ 42 ভিউ
নোয়াখালীর সদর উপজেলার মাদরাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমা অভিযোগ করেন, মাদারাসায় নির্যাতন করে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল সংলগ্ন তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জিদান সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য চর উরিয়া গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ির ওমান প্রবাসী আমিরুল ইসলাম সোহেলের ছেলে।রতানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমা জানান, তার এক ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে জিদান তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগে আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করে। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তার দাদা মো.নুরুল হক বাবুল তার নাতিকে দেখতে মাদরাসায় যায়। সেখানে তিনি দেখেন তার নাতির বমি পড়ে আছে মাদরাসার ফ্লোরে। তখন মাদরাসার মুতামিম আফজাল হোসাইন জিদানের দাদাকে জানায়, আপনার নাতি পড়েলেখা পারে না। এজন্য শাস্তি দিয়েছি। সাবরিনা খাতুন জুমা অভিযোগ করে আরও বলেন, বুধবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে মাদরাসার মুতামিম ফোন করে আমাকে জানায় আপনারা দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যান। আপনার ছেলে মাদরাসায় গলায় ফাঁস দিয়েছে। জুমা অভিযোগ করে বলেন, মাদরাসার শিক্ষকরা আমার ছেলেকে হত্যা করে। এরপর ফাঁসির নাটক সাজায়। তারা আমার ছেলে এর আগেও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে। তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার মুতামিম আফজাল হোসাইন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ওই ছাত্র বিকেলের দিকে মাদরাসার শৌচাগারে ঢুকে। ওই সময় আরও দুজন ছাত্র শৌচাগারে ঢুকতে অপেক্ষায় ছিল। সেখানে জিদান পায়জামার সঙ্গে থাকা নেয়ার (রশি) দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তখন ওই ছাত্ররা শৌচাগারে ঢুকতে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে দরজা খুলে যায়। পরে তারা জিদানের মরদেহ দেখে আমাদের জানায়। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মো.শাহরিয়ার বলেন, ফাঁস হলে পিছনের দিকে দাগ থাকার কথা না। ফাঁসের বিষয় হলে পিছনে দাগ থাকত না। কিন্ত আমি প্রাথমিক অবস্থায় জিদানের গলার পিছনের দিকে তার দাগ দেখতে পেয়েছি। তাই প্রাথমিক ভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে সুধারাম থানার ওসি মো.কামরুল ইসলাম বলেন, অনেকে অনেক কথা বলবে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। মাদরাসায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বেনাপোলে পৌনে ১০ হাজার ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট জব্দ ৩৩ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করল পাকিস্তান ১৫ দিনে শর্তপূরণ না করলে নতুন দলের নিবন্ধন নয়: ইসি ত্রিভুজ প্রেমের ফাঁদে প্রাণ গেল প্রবাসীর সেফুদা মরে নাই… জবিতে গবেষণাবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শিশুদের টাইপ ১ ডায়াবেটিস স্বামীর নাম ধরে ডাকা যাবে কি না, ইসলাম যা বলে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময়ই ভালো: বিসিবি সভাপতি বুলবুল প্রথম হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল উন্মোচন তুরস্কের নাটোরে সড়কে ৮ জন নিহত ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক ট্রাকচালক গ্রেপ্তার চলাচল শুরুর আগেই খালে ভেঙে পড়ল ৬ কোটি টাকার সেতু রূপগঞ্জে কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ শয্যায় পোড়া যন্ত্রণা, বাইরে প্রার্থনায় স্বজনদের বুকফাটা আহাজারি আধুনিক যুদ্ধের নতুন হাতিয়ার ‘সাইবার তেলাপোকা’ চোখের সামনে তিন বন্ধু পুড়ে মারা গেল ‘গুলি করি, মরে একটা, একটাই যায় স্যার’ বলা সেই ডিসি বরখাস্ত দুর্ভিক্ষের কবলে মৃত্যুপুরী গাজা যান্ত্রিক ত্রুটি, চট্টগ্রামে ফিরে গেল বিমান ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩