চীনের গোয়েন্দা সংস্থা এমএসএস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

চীনের গোয়েন্দা সংস্থা এমএসএস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ মে, ২০২৫ | ১১:০১ 34 ভিউ
গুপ্তচরবৃত্তিতে পুরো বিশ্বে সংখ্যানুপাতে সবচেয়ে বড় ও তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার তকমা পেয়েছে চীনের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এমএসএস। সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটিকে (MSS) বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুপ্তচর সংস্থার তকমা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) গুপ্তচরবৃত্তির ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটির (এমএসএস) মাধ্যমে তারা এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন তার ততপর গুপ্তচরদের মাধ্যমে পুরো বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ বৈশ্বিক ঘটনাবলীতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে। সেইসঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোতে চীনা নাগরিক বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত চীনা নাগরিকদের ওপর নজরদারী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকে। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, চীন ইতোমধ্যে নিজেদের গুপ্তচরবৃত্তি আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,ব্যবসা এবং স্থানীয় সরকারগুলোতে নিজেদের গোয়েন্দা নিযুক্ত করেছে। দীর্ঘ তিন দশক চীনের গুপ্তচরবৃত্তি মোকাবিলা করা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক জিম লুইস মনে করেন, বিদেশি সরকার চীনের প্রাথমিক লক্ষ্য নয়। যদিও এ ক্ষেত্রে আমেরিকা দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। কিন্তু যেসব চীনা নাগরিক পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশেষ করে আমেরিকায় অবস্থান করে তারা চীনের গোয়েন্দাদের প্রাথমিক টার্গেট। বিশ্বে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো এবং বিদেশে বসবাসকারী ভিন্নমতালম্বীদের টার্গেট করাই এই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কাজ বলে এসব প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এই কার্যকলাপ বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য এক বড় হুমকি। উল্লেখ্য, চীনে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তৎপরতার জন্য আলাদা কোনো সংস্থা নেই। দেশটির একটি মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনা করে। মন্ত্রণালয়ের নাম মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি। সংক্ষেপে এমএসএস। এমএসএস চীনের অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি, কৌশলগত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনায় অত্যন্ত সক্রিয়। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চীনা স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৮৩ সালে সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট এমএসএস’র অধীনে নেওয়ার পর চীনের কৌশলগত গোয়েন্দা কার্যক্রম এ মন্ত্রণালয় পালন করছে। দেশটির গোয়েন্দা তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত ও সামরিক গোপন তথ্য সংগ্রহ করা। টার্গেট দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, বর্তমান রাশিয়া, ব্রিটেন, জাপান ও জার্মানি। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ানে গোয়েন্দা তৎপরতায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ২৯ জুলাই নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেলেও পদত্যাগে রাজি নন জাপানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ পুরানা পল্টনে ককটেল বিস্ফোরণ গাজীপুরে একদিনে ৩ খুন চট্টগ্রামে বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ৬৭ জনকে গুলি করে মারল ইসরায়েল চলতি বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর ৩ যৌথ মহড়া হিসাবের পরিবর্তনে সরকারের ঋণ বাড়ল ৫৬ হাজার কোটি টাকা ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, বন্ধ মস্কোর বিমানবন্দর তিব্বতে মেগা বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধন চীনের, বিপাকে ভারত ও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম কিনবে সরকার মুক্তির এক বছর আগেই সিনেমার টিকিট বিক্রি শুরু, ৩ মিনিটেই শেষ! খুলনায় বিষাক্ত মদপানে আরও ২ মৃত্যু, অসুস্থ কয়েকজন এনসিপির দুই নেতার পদত্যাগ চলতি বছর তিনটি যৌথ মহড়ায় অংশ নিবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র উজানে ভারি বর্ষণ: তিস্তার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যার সতর্কতা ৪৭২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গিয়ে দেখলেন ‘প্রেমিকা’ বিবাহিতা তিব্বতে মেগা বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধন চীনের, বিপাকে ভারত ও বাংলাদেশ আমরা যেন প্রকৃত অর্থেই ভালো মানুষ হই : বাণী কাপুর