
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

শহিদকন্যা ধর্ষণ, আলোচিত আসামি ইমরান মুন্সী গ্রেফতার

দেশে আর অশান্তি চাই না: আমির খসরু

মাদ্রাসায় বাথরুমে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর

একসঙ্গে ৬ শিশুর জন্ম দিলেন নারী

প্রায় ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ সিদ্ধিরগঞ্জে ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার

‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করলে জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হবে’

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি
এক জমি দুবার বিক্রি, ঝুলছে উভয়পক্ষের মালিকানা সাইনবোর্ড

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সেনপাড়া মৌজায় একই জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দুবার বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে একই দাগের জমিতে আগে পরে দুপক্ষ টাঙিয়েছেন পাশাপাশি সাইনবোর্ড। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ও আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর মহানগরের ৪১নং ওয়ার্ডের নয়ানী পাড়ার ফজলুল মৃধার ছেলে রাসেল মৃধা, একই এলাকার এমদাদ মৃধার ছেলে ও মেয়ে সাজেদ মৃধা ও সায়েকা বেগম ও কালীগঞ্জ থানার বাঙ্গল হাওলা গ্রামের মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে আবু বাকারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, একই জমিতে আগে ক্রয় করা বায়না সূত্রে শেখ মো. মতিনের সাইনবোর্ড ঝুলছিল। সম্প্রতি পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে দ্বিতীয়বার বিক্রি ও ক্রয় করা রাসেল মৃধা ও আবু বাকারের মালিকানার সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষ আদালতে মামলা, থানা পুলিশ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শুক্রবার গাজীপুর মহানগরের পাশে বিন্দান বালু নদীর ওপারে নাগরী ইউনিয়নের সেনপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, সেনপাড়া মৌজার এসএ ৬৫ ও আরএস ৭৩ দাগের প্রায় ৬৭ শতাংশ জমির ওপর একটি গাছে টাঙানো বায়না সূত্রে মালিকানা সাইনবোর্ড শেখ মো. মতিনের। অপরটি পাশের পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিতে টাঙানো একটি সাইনবোর্ড যার মালিকানা সম্প্রতি সাবকবলা দলিল মূলে মালিক রাসেল ও আবু বাকারের।
আমমোক্তারদের একজন আলম মৃধা জানান, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে এ দাগের জমি এমদাদ মৃধার তিন ছেলে-মেয়ে সাজেদ মৃধা, সায়েকা বেগম ও শাহিনা আক্তার থেকে রেজিস্ট্রেশন করে দলিল মূলে আমমোক্তার নিযুক্ত হই। এতে বড় ভাই আজাহার মৃধা, হাসমত মৃধা ও আমার নাম রয়েছে।
পরে একই বছর ৬৭ শতাংশ জমি সেনপাড়া এলাকার শেখ মতিনসহ ৫ জনকে বায়না রেজিস্ট্রেশন করে দেই। কিন্ত দুর্ভাগ্যবশত আমমোক্তার নামা দলিল ইস্যু করা দাতা এমদাদ মৃধার তিন সন্তানের এক মেয়ে সায়েকা ও ছেলে সাজেদ মৃধা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে একই জমি পুনরায় রাসেল মৃধা ও আবু বাকারকে গত বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দলিল মূলে সাবকবলা করে বিক্রি করে দেন। বিষয়টিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন রাসেল মৃধা ও আবু বাকার, সাজেদ মৃধা ও সায়েকা বেগম। এদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে বায়না রেজিস্ট্রেশনে জমির মালিকদের একজন শেখ মতিন জানান, বায়নাসূত্রে জমির মালিক হয়ে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলাম। কিন্ত প্রতারণা করে একই জমি পুনরায় সাবকবলা দলিল দেওয়া ঠিক হয়নি।
নাগরী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা সোলাইমান জানান, অভিযুক্ত সাজেদ মৃধা ও সায়েকা বেগম আমমোক্তার নামা দলিল বাতিল না করে পুনরায় রাসেল মৃধা ও আবু বাকারকে সাবকবলা দলিল দেওয়ার বিষয়টি আইনবহির্ভূত। এছাড়া নামজারির বিষয়টি দেখে বলতে হবে।
সম্প্রতি সাবকবলা দলিল মূলে গ্রহীতা মালিকদের একজন আবু বাকার জানান, সাজেদ ও সায়েকা বেগম যাদেরকে আমমোক্তারনামা দলিল দিয়েছিল তারা মারা গেছে। তাই ওই দলিল বাতিল হওয়ায় আমরা পুনরায় সাবকবলা নিয়ে খাজনা খারিজ করে সাইনবোর্ড টাঙিয়েছি।