
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

টিপু মুনশির ১২ ব্যাংক হিসাব ও ১৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার অবরুদ্ধ

ইপিআই বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে জনবলের ঘাটতি

বিএমইউ এবং চীনের কুনমিং মেডিকেল ইউনিভার্সিটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের রাজধানী দোহায়

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাপানের সমর্থন অব্যাহত রাখবে

আজ কাতার যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

নীলফামারীতে চীন সরকারের উদ্যোগে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে
আমার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ নেই টিউলিপ সিদ্দিক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। সোমবার (১৪ এপ্রিল) গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে লন্ডনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করছে। টিউলিপ বলেন, ‘আমার আইনজীবীরা সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছিলেন, কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে—আমি এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রকার গুরুত্ব দিতে বা কোনো মন্তব্য করতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার, আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ নেই।’ প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি দেশ অন্য দেশকে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলে বিচারের জন্য হস্তান্তর করার অনুরোধ জানাতে পারে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে ২বি প্রত্যর্পণ দেশের তালিকায় রেখেছে। এর অর্থ হলো—বিচারকেরা টিউলিপকে প্রত্যর্পণ করতে চাইলে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশকে সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগত কোনো মামলায় মন্তব্য করবেন না।
রোববার টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা বলেন, দুদক গত কয়েক মাসে গণমাধ্যমে এই এমপির বিরুদ্ধে ‘বিভিন্ন অভিযোগ’ করেছে। টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং মিসেস সিদ্দিকের আইনজীবীরা লিখিতভাবে এর জবাব দিয়েছেন।’ দুদক শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাত থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। এই তদন্ত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ববি হাজ্জাজের করা একগুচ্ছ অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন—টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশকে একটি চুক্তি করতে সাহায্য করেছিলেন। এই চুক্তিতে বাংলাদেশে নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যয় অনেক বেশি ধরা হয়েছিল। দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, এই অভিযোগগুলো ‘কোনোভাবেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন নয়’ এবং তাদের তদন্ত ‘দুর্নীতির নথিবদ্ধ প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে’ পরিচালিত।
তিনি আরও বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের আদালতের কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা উচিত নয়।’ তিনি বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক তার মামলায় আইনি সহায়তা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করলে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাব।’
এ বছরের শুরুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস টিউলিপের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করেন। এর পরপরই টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। স্যার লরি তার প্রতিবেদনে বলেন, তিনি ‘কোনো প্রকার অসংগতির প্রমাণ পাননি।’
দুর্নীতি দমন কমিশন টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ তদন্ত করছে। এই তদন্ত মূলত তার খালা শেখ হাসিনার সরকারের আমলের ব্যাপক দুর্নীতির তদন্তের অংশ। গত আগস্টে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন।
ব্রিটেনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট এলাকার এই এমপি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রেজারির অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।