মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধিদল

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধিদল

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১২ জুন, ২০২৫ | ১১:২৭ 41 ভিউ
চলতি মাসের শেষ দিকে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অন্তত ১০ জন এ সফরে যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৪ জুন দেশটিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপির প্রতিনিধিদল চীন যাচ্ছে। চীনা সরকারসহ কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিতে এই সফর। এদিকে ১৭ জুন ঢাকায় মার্কিন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক করার কথা রয়েছে। চীন সফর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এর আগে চীন গিয়েছিলাম সেটি ছিল-মালটিপার্টি ডেলিগেশন। ওখানে বিএনপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও সাংবাদিকরা ছিলেন। এখন যেটা যাবে সেটা হচ্ছে বিএনপির ডেলিগেশন। এটা মহাসচিব (বিএনপি) নেতৃত্ব দেবেন। সিনিয়র ১০ জনের মতো যাবেন। যদি সব কিছু অরগানাইজ হয়ে যায়, তাহলে জুনের শেষ দিকে যাওয়ার কথা। পার্টি টু পার্টির মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোই এই সফরের উদ্দেশ্য। ওখানে (চীন) সাধারণত পার্টি এবং সরকার একসঙ্গে কাজ করে থাকে। জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি বিভিন্ন সময় সংলাপ করে থাকে। এর আগেও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে চীন আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিল। এবারের প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। সম্ভাব্য এ সফরে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ও রাজনীতির বিষয়টি উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে গত মাসের শেষ দিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বেইজিংয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেয় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। ওই সময় প্রতিনিধিদল চীনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উত্তর-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন। এরও আগে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপিসহ সাতটি রাজনৈতিক দল মিলিয়ে একটি প্রতিনিধিদল দেশটি সফর করে। তখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যে রেকর্ডে ম্যাক্সওয়েলের উপরে শুধু গেইল মেয়েদের পুরস্কার দেবে বাফুফে বাবার জন্য দাবা, ছেলের কথা রাখলেন মা মা হতে চান জয়া আহসান ‘বেবিটা আমার বোনের’, গুজব নিয়ে মুখ খুললেন তানজিন তিশা ঢালিউডে ছ’মাসে ২২ সিনেমা, কতটুকু ফুটলো আশার ফুল? ১৮৫ সিনেমার মহাতারকা শবনম, ২৫ বছর ধরে ভালো গল্পের অপেক্ষায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে খামেনি সংসদ নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও নেই