ভাঙাচোরা রাস্তায় তুরাগে দুভোর্গের শেষ নেই

ভাঙাচোরা রাস্তায় তুরাগে দুভোর্গের শেষ নেই

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ জুন, ২০২৫ | ১১:০৫ 37 ভিউ
গেল কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর তুরাগের রাস্তাঘাটগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানিতে প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে এলাকার অলিগলি কাদাপানিতে পরিণত হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাফেরা করছেন এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার তুরাগের রানাভোলা, বাউনিয়া, বাদালদি, উলুদাহ ও তাফালিয়া এলাকা সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তুরাগের ৫২ ও ৫৩নং ওয়ার্ডের রাস্তাগুলোর সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় এলাকার রাস্তাঘাটে চলাচল করাই দায় হয়ে পড়েছে। ডিএনসিসি ৫২নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত তুরাগের বাদালদি এলাকার বাসিন্দা মেহেদি হাসান জানান, এলাকার ভিতরের রাস্তার কথা কি বলব বাউনিয়া থেকে উলুদাহ চলাচলের মেইন রোড আজ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে। এ রাস্তায় চলতে আমাদের যে কষ্ট হয় এটা কাকে বলব? যারা আগে ক্ষমতায় ছিল তারা এলাকার রাস্তাঘাট ঠিক করতে কোনো ভূমিকাই রাখেননি। ডিএনসিসি ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত তুরাগের অপর এলাকা রানাভোলার বাসিন্দা ফজলে রাব্বি জানান, ১২ বছর ধরে আমরা কষ্টে আছি। বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু পানির নিচে থাকি আমরা রানাভোলা ৩ নম্বর রোডের বাসিন্দারা। আশপাশের রাস্তাগুলোতে সংস্কার কাজ হলেও অজানা কারণে শুধুমাত্র আমাদের এ রোডটি সংস্কার বঞ্চিত রয়ে গেছে। রানাভোলা ৩নং রোডের বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, বৃষ্টি হওয়া মানেই আমাদের দুর্ভোগ। বৃষ্টির পানি নামাতে প্রতিবারই আমরা লোক ভাড়া করে আনি। এখানে রাস্তা-ড্রেন কিছুই নাই। সড়কে জলাবদ্ধতার একই সমস্যা ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের তাফালিয়া এলাকায়ও। স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন জানান, ভাঙা রাস্তা, জলাবদ্ধতা এবং কাদাপানি আমাদের সারা বছরের সমস্যা। তাফালিয়া থেকে বাউনিয়া যাওয়ার রাস্তার অবস্থা বেহাল। আমাদের চলতে ফিরতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। কাউন্সিলর না থাকায় সমস্যার কথা কাউকে বলতেও পারছি না। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ডেনেজ ও সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তুরাগের বাসিন্দাদের।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যে রেকর্ডে ম্যাক্সওয়েলের উপরে শুধু গেইল মেয়েদের পুরস্কার দেবে বাফুফে বাবার জন্য দাবা, ছেলের কথা রাখলেন মা মা হতে চান জয়া আহসান ‘বেবিটা আমার বোনের’, গুজব নিয়ে মুখ খুললেন তানজিন তিশা ঢালিউডে ছ’মাসে ২২ সিনেমা, কতটুকু ফুটলো আশার ফুল? ১৮৫ সিনেমার মহাতারকা শবনম, ২৫ বছর ধরে ভালো গল্পের অপেক্ষায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে খামেনি সংসদ নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও নেই