আমরা জাতিগত নিধন সমর্থন করি না: খলিলুর রহমান

আমরা জাতিগত নিধন সমর্থন করি না: খলিলুর রহমান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ মে, ২০২৫ | ১০:৫২ 33 ভিউ
মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন যে প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি হচ্ছে সেখানে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি দেখতে চায় বাংলাদেশ। আরাকান আর্মিকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে করে আর নতুন রোহিঙ্গা না আসে। এ কথা আমরা খুব জোরের সঙ্গে আরাকান আর্মিকে জানিয়েছি। জাতিসংঘের মাধ্যমে তাদেরকে যে কয়েকটি কথা আমরা জানিয়েছি সেগুলো হলো-আরাকানে যে নতুন প্রশাসন তৈরি হচ্ছে, তার সব স্তরে আমরা রোহিঙ্গাদের দেখতে চাই। যদি সেটি তারা না করে, তবে সেটি হবে জাতিগত নিধনের একটি নিদর্শন। এটি আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না। আমরা এ কাজটি কখনও করবো না। এই কাজটি যদি তারা না করে, তাহলে তাদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া খুব মুশকিল হবে।’ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এ ধরনের জাতিগত নিধন কোনোভাবেই সমর্থন করি না, এটা পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় হোক। এটা আরাকান আর্মির জন্য একটি প্রথম পরীক্ষা। আমরা অপেক্ষা করছি এই পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হতে পারছে কিনা।’ আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে কী জবাব পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশ্ন করেছি। জবাব পেলে আমরা বিচার-বিবেচনা করে দেখব কী ধরনের জবাব পাচ্ছি। এখানে কোনো রাখঢাকা নেই। এটি সরাসরি প্রশ্ন। আপনি জাতিগত নিধনের পক্ষে অথবা বিপক্ষে।’ আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগের বিষয়ে মিয়ানমারের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা সার্বভৌম রাষ্ট্র। যার সঙ্গে ইচ্ছা তার সঙ্গে আমরা কথা বলব। কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা একটি স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন করেছি এবং বাস্তবায়ন করছি।’ তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু তারাও তো কথা বলছে। তারাতো যুদ্ধবিরতির কথা বলছে। এছাড়া আরেকটি বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে। আমাদের সীমান্তের ওপারে এখন নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির। আমাদের সার্বভৌম সীমান্ত আমাদেরই ব্যবস্থাপনা করতে হবে, রক্ষা করতে হবে, শান্তিপূর্ণ রাখতে হবে। এজন্য ওপারে যেই থাক, তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখব। মিয়ানমার আর্মি যদি পারে, আসুক তারা সীমান্তের ওপাশে। তাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ ছিল এবং সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুক। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব। মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে, নিশ্চয়ই আছে। কিছুকাল আগে মিয়ানমারে ভূমিকম্পের সময়ে আমরা সাহায্য পাঠিয়েছি। তাদের অনুরোধের অপেক্ষা করিনি। তাদের সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগ আছে। রোহিঙ্গা বিষয়েও তাদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা আছে। বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। আলাপ আলোচনা চলতেই থাকবে। একটি সমস্যার সমাধান চাইলে সব পক্ষের সঙ্গে একটি যোগাযোগ রাখতে হবে। সেটি না হলে সমাধান করা সম্ভব হবে না। রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, সবপক্ষ রাজি হলেই যে বাংলাদেশ মানবিক সাহায্য দেবে- এমন কোনো কথা নেই। কারণ আমাদের অন্যান্য বিষয় আছে।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক আমানতের অর্থে ঋণের জামানত রাখা যাবে মৌলভীবাজারের চার সীমান্ত দিয়ে ৮৩ জনকে পুশইন তুলা আমদানিতে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি তিন দিনে হাজার ছাড়াল ডেঙ্গুরোগী ভর্তি ৮২ প্রকৌশলী নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন, রুল ৬৫ চিকিৎসক নিয়োগ ‘রাতের ভোটে’র মতোই সঞ্চয়পত্র থেকে মুখ সরিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা গাজায় হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেলেছে ইসরাইল গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৮ থানায় হামলা চালিয়ে ২ আসামি ছিনতাই-ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২০ পশ্চিম তীরকে দখল করতে নেতানিয়াহুকে ১৪ ইসরাইলি মন্ত্রীর চিঠি দালাই লামার উত্তরসূরি নির্ধারণে চীনের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের হামাসের ‘চিহ্ন’ রাখতে চান না নেতানিয়াহু এবার আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, লোমহর্ষক বর্ণনা সৌদিতে বসছে মার্কিন ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তিন দশক ধরে চলা ‘মিশন ইমপসিবল’ সিরিজের শেষ পর্বে কী থাকছে? আমির খানের বিয়ে ভেঙে দেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার! ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে গাজা উপত্যকার ৮৫ শতাংশ এলাকা: জাতিসংঘ বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্সের শিক্ষকদের জন্য সুখবর