গাজা পুনর্গঠনে পরিকল্পনা তৈরি করছে মিসর

গাজা পুনর্গঠনে পরিকল্পনা তৈরি করছে মিসর

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৪৯ 38 ভিউ
গাজা পুনর্গঠনে পরিকল্পনা তৈরি করছে মিসর। তবে এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিপরীত নিয়মে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটি। ট্রাম্প গাজা জনশূন্য করে এই অঞ্চলের পুনর্গঠনের কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বের না করে অঞ্চলটির পুনর্গঠনে মনোযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে মিসর। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলআত্তি সোমবার ঘোষণা করেছেন যে, কায়রো বর্তমানে গাজার পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। যার লক্ষ্য গাজার জনগণের পুনর্বাসন না ঘটিয়ে অঞ্চলটি পুনর্গঠন করা। এই পরিকল্পনা ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি। যা গাজার ভূ-রাজনৈতিক এবং জনসংখ্যাগত কাঠামো পরিবর্তনের দাবি করে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র আল-আহরাম জানিয়েছে, মিসর গাজার জন্য একটি সমন্বিত পুনর্গঠন পরিকল্পনা তৈরি করছে। এটি ৩টি ধাপে সম্পন্ন হবে এবং ৫ বছরের মধ্যে শেষ হবে। প্রথম ধাপটি শুরু হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি কায়রোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জরুরি আরব সম্মেলনের পর। এর আগে, সৌদি আরব রিয়াদে মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডানের প্রতিনিধিদের নিয়ে গাজা পুনর্গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে পুনরায় হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর গাজার বিষয়ে বিতর্কিত পরিকল্পনা করেছেন। এ পরিকল্পনায় তিনি গাজাকে নজরদারি করার এবং সেখানে বসবাসকারী ২ মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে অন্য কোথাও পুনর্বাসিত করার কথা বলেছেন। তবে মিশর ও জর্ডান এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো একে জাতিগত নির্মূল হিসাবে বিবেচনা করেছে। মিসরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার ভিতরে তিনটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে ফিলিস্তিনিরা পুনর্গঠনের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে অবস্থান করবে। এখানে মোবাইল বাড়ি এবং আশ্রয়স্থল তৈরি করা হবে এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার জনগণের জন্য হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে মিসর তাদের পরিকল্পনা অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করছে। পাশাপাশি সৌদি আরব, কাতার ও ইউএইর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের গাজার নতুন সংস্করণের পরিকল্পনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও সৌদি আরবে গিয়ে এই পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন জোরদার করেছেন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, গাজার বাসিন্দাদের স্বেচ্ছায় তৃতীয় দেশে চলে যাওয়ার জন্য সহায়তা দেওয়া হবে। তবে মিসরের এই পুনর্গঠন পরিকল্পনা ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাবের তুলনায় অনেক বেশি মানবিক এবং গাজার জনগণের সুবিধা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত আগামী ৫ দিন যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি ও ভারী বর্ষণ ভারতের ২০টি যুদ্ধবিমান টার্গেট করেছিল পাকিস্তান গ্রেটা থুনবার্গের সঙ্গে কেমন আচরণ করল ইসরায়েলি সেনারা যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি কারফিউ ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ যাদের ফের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা আরও ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত দেশেও করোনার নতুন ধরন সড়কে আবেদনময়ী পোস্টার, ভারতে ৪০টি দুর্ঘটনা কালো জাদুর শিকার হয়েছিলাম : মিষ্টি জান্নাত থাকতে থাকতে নাই, অথবা একটু থেকেও নাই : চঞ্চল চৌধুরী শাকিব-অপুর নতুন গুঞ্জনে যা বললেন বুবলী ত্রাণের নামে মরণ ফাঁদ, ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি প্রতিরাতে শতাধিক ট্রাক বালু লুট, সশস্ত্র মহড়া পিছিয়ে পড়ে আলমাদার গোলে ড্র করল ১০ জনের আর্জেন্টিনা শতকোটি টাকার পাথর ১৭ কোটি শার্শায় বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা অসুস্থ ও আহত যুদ্ধবন্দিদের বিনিময় করল রাশিয়া ও ইউক্রেন