কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ মার্চ, ২০২৫ | ১০:৩৭ 47 ভিউ
পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৬ প্রকল্পের কাজ না করেই প্রায় ৩০ লাখ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় গত ৯ মার্চ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মৌকরন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। যেসব প্রকল্প থেকে চেয়ারম্যান অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সেগুলো হলো, মৌকরন বাজারে দুটি রাস্তা পাকাকরণ, দুটি ড্রেন নির্মাণ, বালুভরাট ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের মাহমুদুল্লাহ হাওলাদারের বাড়ি থেকে হক হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুর্ননির্মাণ, একই ওয়ার্ডের আরজেদ আলী শিকদারের বাড়ি থেকে আব্দুল হক শিকদারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা আরসিসি ঢালাই, ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের মালেক হাওলাদারের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তা পুর্ননির্মাণ, রব হাওলাদারের বাড়ি থেকে আনসার কাজীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুর্ননির্মাণ, শ্রীরামপুর রহমান শিকদারের বাড়ি থেকে জালাল মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, তিন নাম্বার ওয়ার্ডের রব বেপারীর বাড়ি থেকে অমূল্য সেনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুর্ননির্মাণ, আট নাম্বার ওয়ার্ডের মেইন সড়ক থেকে কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা পুর্ননির্মাণ, ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের মেইন সড়ক থেকে লতিফ মোহসেনা স্কুল পর্যন্ত রাস্তা পুর্ননির্মাণ এবং জাকির শিকদারের বাড়ি থেকে রহমান শিকদারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুর্ননির্মাণ। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের আরজেদ আলী শিকদারের বাড়ি থেকে আব্দুল হক শিকদারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা আরসিসিকরণ প্রকল্পের ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯১ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি করা হয়েছে আব্দুল হক শিকদারকে। তবে এই ব্যক্তি প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না। জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, চেয়ারম্যান সেলিমের সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগসহ পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে নানাজনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল। এ সুযোগে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন তিনি। এছাড়া এলজিডি সদর দপ্তরসহ ঢাকা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এদিকে অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। অভিযোগকারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাকে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসাবে দেখানো হলেও আমি প্রকল্প সম্পর্কে জানি না।’ অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান সেলিম বলেন, ‘অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। মূলত আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তদন্ত আমি দোষী প্রমাণিত হলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।’ এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জুয়েল রানা বলেন, ‘অভিযোগগুলোর বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
এক সপ্তাহে ঢাকা স্টকের মূলধন বেড়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা শ্রদ্ধা–ভালোবাসায় হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন পাকিস্তানের পাঞ্জাবে প্রবল বৃষ্টিপাত, দুই দিনে ৭১ জনের মৃত্যু গোপালগঞ্জে কারফিউ বাড়ল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়: ট্রাম্প শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কলাপাড়ায় ইউএনওর পুকুরে মিলল জীবন্ত ইলিশ যেভাবে প্রশ্ন করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে! বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সত্যবিরোধী, চিন্তা করতে শেখায় না : ড. সলিমুল্লাহ খান হাদিস: ইসলামী জীবনের পথনির্দেশ ক্রীড়াঙ্গনে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কঠোর হচ্ছে সরকার মুগ্ধ প্রিয়াঙ্কা মুক্তির অপেক্ষায় পবণ কল্যাণের ‘হরি হারা বীরা মালু’ ভারতে আশ্রিত আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার গাজায় শিশুদের ভয়ংকর পেরেকভর্তি নতুন বোমা দিয়ে মারছে ইসরায়েল মাদকাসক্ত যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল মা ও ভাই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ২৫ কেজি দুধ দিয়ে গোসল ফুটবলে দর্শক পাওয়া যেত না, এখন টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না ৫৪ বছর ধরে রশি টেনে ডিঙি নৌকায় নদী পারাপার সাইবার জালিয়াতি ঠেকিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মাননা পেল শ্রীলঙ্কার ব্যাংকের কর্মকর্তারা