
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণের পর নারী মেম্বরকে হত্যা করেন লতিফ

আমাকে মৃত ভেবে চলে যায় সন্ত্রাসীরা

উখিয়ায় ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দিত তারা

নেই অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, গ্রেফতার ৫
সেতু আছে, সংযোগ সড়ক নেই

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের সর্ব উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম শালঝোড়। কালজানী ও গদাধর নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরের মতো ওই গ্রামটির কয়েক হাজার মানুষের যেন দুঃখের শেষ নেই। গ্রামটির তিন দিকেই ভারতীয় সীমানা। গ্রাম থেকে বের হওয়ার একটি মাত্র পথ। আর এ পথেই গদাধর নদের উপর নির্মিত একটি সেতু। তবে সেতু থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক। বাঁশ দিয়ে কোনোরকম জোড়াতালি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, ২০০০ সালে গদাধর নদের উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করে। সেতু নির্মাণের কয়েক বছর পর বন্যায় সেতুটির পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে বিলীন হয়ে যায়। আর তখন থেকেই ওই সেতুতে ভেঙে যাওয়া সংযোগ সড়কে জোড়াতালি দিয়ে চলছে সেতু পারাপার।
স্থানীয় আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, এই সেতু পার হয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যেতে হয় কালজানী নদে। নদটি নৌকায় পার হয়ে সেখান থেকে আরো প্রায় ২ কিলোমিটার পর শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। সামান্য কাজের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ পৌঁছতে এবং বাড়ি ফিরতে প্রায় সারা দিন লেগে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, গদাধর নদের পূর্ব পাড়ে শিলখুড়ি ইউনিয়নের শালঝোড় ওয়ার্ড এবং উত্তর ধলডাঙ্গা ওয়ার্ডের একাংশ অবস্থিত। এখানে লোকসংখ্যা প্রায় ১০-১২ হাজার। এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নির্মিত হচ্ছে একটি বিজিবি ক্যাম্প। প্রতিদিন অনেক মানুষ এ সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ভারি কোনো জিনিস পরিবহণ করতে ভীষণ কষ্ট করতে হয়।
এ বিষয়ে শিলখুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে কয়েকবার সংযোগ সড়কটির মেরামত করেছি। তবে আল্লাহ যদি আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করেন আমি প্রথমেই ওই সেতু পূর্ণ মেরামত করব।
উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান বলেন, বন্যা ও নদী ভাঙনের কারণে সেতুটির সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। স্থানীয়ভাবে বাঁশ দিয়ে সংযোগ সড়ক তৈরি করে চলাচল করা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।