
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেওয়া নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, এলাকা রণক্ষেত্র

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু: জয়

আলো নিভিয়ে একাত্তরের কালরাত স্মরণ করল বাংলাদেশ

স্বাধীনতা আমাদের স্বাধীনতা

আইনি বাধায় আটকে আছে রাজাকারের তালিকা

ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ভারসাম্যপূর্ণ আচরণের প্রশংসায় রাশিয়া
সব নদীবন্দর ও জেলায় রেল যোগাযোগ হবে: রেলপথ মন্ত্রী

রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে রেলে আমূল পরিবর্তন আসছে। নতুন রেললাইন স্থাপন, অত্যাধুনিক রেল ইঞ্জিন-কোচসহ বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি নদী ও সমুদ্রবন্দরসহ সব জেলায় রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। এজন্য সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে রেলে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে রেলের সামর্থ্য আরও বাড়াতে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রেলভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ রেলের জন্য ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগন ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয় চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি কোম্পানির সঙ্গে। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন চায়নার সিআরআরসি কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাই জিইয়েন।
মন্ত্রী বলেন, রেল ভ্রমণ সবচেয়ে সাশ্রয় ও নিরাপদ। রেল বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতির পিতার স্বপ্নের আত্মনির্ভরশীল, মর্যাদাপূর্ণ দেশ গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়ন এবং দেশের মানুষের নিরাপদ সাশ্রয় যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকে রেলকে গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ বাড়াচ্ছেন। আধুনিক ট্রেন রেলবহরে যুক্ত করছেন। দ্রুতগামী ট্রেনসহ দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন।
মন্ত্রী বলেন, ৩১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগন সংগ্রহের লক্ষ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী ৩০ মাসের মধ্যে ওয়াগনগুলো সরবরাহ করা হবে। চালানো হবে নতুন নতুন ট্রেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ৮টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে বর্তমানে পাঁচটি চালু করা হয়েছে। আরও তিনটি চালু হচ্ছে কয়েক বছরের মধ্যেই।
আশা করছি আগামী বছর ডিসেম্বরে কক্সবাজার রেললাইন চালুর লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে। পর্যায়ক্রমে সব মিটারগেজকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। চলমান রেলপথকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া যমুনা নদীর ওপর আলাদা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী, সরদার সাহাদত আলী, কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।