
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ইসরাইলে কেন এতো ভারতীয়, কী করেন তারা

ইসরাইলি হামলায় ইরানের ৫ হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত

ভয়েস অব আমেরিকায় সর্বোচ্চ ছাঁটাই

হানিমুনে গিয়ে স্ত্রী আটক, একাই ফিরলেন বর

অবশেষে মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল

গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

২০ লাখের বেশি সিরীয় নাগরিক বাড়ি ফিরেছেন: জাতিসংঘ
রুটির টুকরায় ফিরে এলো ইতিহাসের স্বাদ

ছোট্ট রুটির টুকরো। ৫ হাজার বছরের পুরোনো। পড়ে থাকা রাস্তার ভাঙা পিচের দলার মতো অনেকটা। এর ভেতরই লুকিয়ে ছিল তুরস্কের আদিপুরুষদের মুখরুচি; জিহ্বার স্বাদ। পূর্বপুরুষদের খাদ্যাভ্যাসে মিশে থাকা সেই ‘অমৃত’ই এখন তুরস্কের মুখে মুখে। রুটি নয়, যেন হারানো ইতিহাসের স্বাদ পরখ করছেন মুখভরে। চোখ বন্ধ করে দেখছেন নিজেদের হাজার বছরের অতীত। এএফপি
ব্রোঞ্জযুগের সেই রুটির টুকরাটি ছিল মাটির নিচে অন্ধকারে। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেটি তুলে এনেছেন আলোর মুখে। তুরস্কের মধ্যাঞ্চলের এস্কিশেহির শহরের কাছে খননকাজের সময় পাওয়া যায় এটি। ঐতিহাসিক রুটির টুকরাটি রাখা হয় স্থানীয় জাদুঘরে। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ববিদদের সহায়তায় এক বেকারিতে আবার বানানো হয়েছ সেই রুটি।
প্রাচীন সেই রুটির স্বাদ নিতে প্রতিদিনই বেকারির সামনে ভিড় করছেন অনেকে। ইতিহাসের আকর্ষণ, কৌতূহলের টানে কিংবা হয়তো নিছকই এক নতুন স্বাদের খোঁজে। প্রায় ১২ সেন্টিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট, গোল এবং প্যানকেকের মতো চ্যাপটা রুটির টুকরাটি পাওয়া যায় কুলুওবা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে। প্রায় ৫ হাজার বছর আগের কেউ একজন রুটি সেঁকে মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল তার নতুন ঘর বানানোর সময়। তবে কেন পুঁতেছিল, এর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ভালোবাসা, পূর্ণতা বা সমৃদ্ধির কোনো রীতির অংশ ছিল সেটি।
প্রত্নতত্ত্ববিদ ও খনন প্রকল্পের পরিচালক মুরাত তুর্কতেকি বলেন, ‘এটি খননে উদ্ধার হওয়া প্রাচীনতম রুটি এবং বিস্ময়করভাবে এটি গঠন অনেকাংশেই অক্ষত রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রুটিটি সাধারণত খননে পাওয়া যায় না। কিন্তু এটি সংরক্ষিত ছিল, কারণ এটি পুড়িয়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল।’ প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, রুটিটি তৈরি করা হয়েছিল প্রাচীন ‘এমার গম’ ও ডাল দিয়ে। খামির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল অজ্ঞাত উদ্ভিদের পাতা।
ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ি নির্মাণের আগে ওই রুটিটি জ্বালিয়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল ‘সমৃদ্ধির প্রতীকী রীতি’ হিসাবে। এস্কিশেহির শহরের মেয়র আয়শে উনলুজে বলেন, ‘এই আবিষ্কারে আমরা আবেগাপ্লুত হয়েছিলাম। খনন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে রুটিটি আবারও তৈরি করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করি।’ তবে প্রাচীন এমার গম এখন আর তুরস্কে পাওয়া যায় না। তাই এর কাছাকাছি জাত ‘কাভিলজা গম’, ডাল ও বুলগুর ব্যবহার করে মূল রেসিপি অনুসারে রুটি তৈরির উদ্যোগ নেয় শহর প্রশাসন। সরকারি মালিকানাধীন হাল্ক একমেক বেকারিতে প্রতিদিন হাতে তৈরি করা হচ্ছে ৩শটি ‘কুলুওবা রুটি’। ৩০০ গ্রামের এই রুটি বাজারে ৫০ তুর্কি লিরায় (প্রায় ১.২৮ মার্কিন ডলার) বিক্রি হচ্ছে।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।