
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

কলম্বোতে কারফিউ জারি

টিকে থাকার লড়াইয়ে ছক্কা হাকাতে পারবেন ইমরান খান?

এবার ইয়েমেনে পাল্টা হামলা চালাল সৌদি জোট

সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র রপ্তানি করেছে মোদি সরকার

ইউক্রেনকে বিপুল ক্ষেপণাস্ত্র ও মেশিনগান দিয়েছে জার্মানি

ইউরোপের গ্যাসের চাহিদা সত্যিই কি মেটাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র?

ইউক্রেনে এবার গম-ভুট্টা চাষ হবে কিনা সন্দেহ!
যে কারণে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ম্যাঁক্রোর স্ত্রী

একসময় যার শিক্ষিকা ছিলেন, এখন তিনি তারই স্ত্রী এবং ফার্স্ট লেডি। আলোচিত এই নারী হলেন ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জীবনসঙ্গিনী ব্রিজিত থনিও। স্বামীর চেয়ে ২৫ বছরের বড় ব্রিজিত বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছেন।
ফ্রান্সের এই ফার্স্ট লেডি এবার হাস্যকর কারণে আলোচনায়।
বিবিসির খবর অনুসারে, ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিত থনিও’এর বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ছড়ানো হচ্ছে যে, তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী এবং পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তিন সন্তানের জননী ব্রিজিত ইতোমধ্যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের একটি কট্টর ডানপন্থি ওয়েবসাইট এই গুজব প্রচার শুরু করে। এরপর সম্প্রতি এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
গুজব প্রচারকারীরা বলছেন, ব্রিজিত থনিও পুরুষ হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেন এবং তার নাম ছিল জেন মাইকেল ট্রোজানিউক্স। এই নামটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।
ম্যাক্রোঁর স্ত্রী’র একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
আইনজীবী জেন এনোচি বলেন, তিনি মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, এটা নিয়ে কাজ চলছে।
বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, ২০২২ সালে ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ম্যাক্রোঁর স্ত্রী’র বিরুদ্ধে এ ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
২০২০ সালের নির্বাচনে ম্যাক্রোঁ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন কিনা তিনি সেটা এখনো ঘোষণা দেননি। তবে ম্যাক্রোঁ নির্বাচনে লড়বেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত থনিও’র পূর্বে একবার বিয়ে হয়েছিল। সেই পক্ষে তার তিনজন পূর্ণবয়স্ক সন্তান রয়েছে।
ব্রিজিতের জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৩ এপ্রিল। ম্যাক্রোঁর থেকে বয়সে তিনি ২৫ বছরের বড়। ম্যাক্রোঁ-ব্রিজিত ২০০৭ সালে যখন বিয়ে করেন, তখন ইমানুয়েলের বয়স ২৯ বছর আর ব্রিজিতের বয়স ৬৪ বছর। বিয়ের সময় ম্যাক্রোঁ নিজের পড়াশোনাটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, আর ব্রিজিত কাজ করছিলেন শিক্ষক হিসেবে।
খবরে জানা যায়, শিক্ষিকা হিসেবে ফরাসি ও লাতিন ভাষা শেখানোর পাশাপাশি নাটকের ক্লাসও নিতেন ব্রিজিত। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে মিলান কুন্ডেরার ‘জ্যাক অ্যান্ড হিস মাস্টার’ নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে ওই নাটকের নির্দেশক ব্রিজিতের প্রেমে পড়েন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এরপর অভিনেতা-নির্দেশক হয়ে ওঠেন বাস্তব জীবনের চিত্রনাট্যের নায়ক-নায়িকা।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।