
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বাবার কবরের পাশে সমাহিত তানিন সুবহা

‘মহাভারত’ কি আমির খানের শেষ সিনেমা?

গোবিন্দকে বিয়ে করে বুকে পাথর চাপা দিতে হয়েছিল সুনীতার

টাবুর সঙ্গে টানা দশ বছর পরকীয়া চালিয়ে যান নাগার্জুন

সড়কে আবেদনময়ী পোস্টার, ভারতে ৪০টি দুর্ঘটনা

কালো জাদুর শিকার হয়েছিলাম : মিষ্টি জান্নাত

থাকতে থাকতে নাই, অথবা একটু থেকেও নাই : চঞ্চল চৌধুরী
মিশন ইম্পসিবল নাকি জেমস বন্ড, কোন সিনেমায় সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ হয়েছিল

হলিউডের অ্যাকশন সিনেমা মানেই গোলাগুলি, প্রচন্ড বিস্ফোরন। যখন বিশাল আকারের দারুনভাবে কোরিওগ্রাফ করা এবং (আক্ষরিক অর্থে) বিস্ফোরক অ্যাকশন সিকোয়েন্সের কথা আসে, তখন ‘মিশন ইম্পসিবল’ এবং ‘জেমস বন্ড’ উভয় সিনেমাই অতীতে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে।
কিন্তু এ সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি সিনেমা সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণের জন্য একটি অনন্য বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছে। এটি কি টম ক্রুজ অভিনীত ‘মিশন ইম্পসিবল’, নাকি ড্যানিয়েল ক্রেগ অভিনীত ‘জেমস বন্ড’?
দর্শক প্রতিক্রিয়া ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে মিশন ইম্পসিবল এবং জেমস বন্ড দুটোই এগিয়ে। কেউ কারও থেকে কম নয়। দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই অ্যাকশন ঘরানার। দুটোতেই বড় বড় বিস্ফোরণের দৃশ্য রয়েছে।
তবে তুলনাবিচারে একটি সিনেমায় সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণের রেকর্ড ড্যানিয়েল ক্রেগের ‘স্পেকটার’র দখলে। এটি জেমস বন্ড সিরিজের ২৪তম সিনেমা। সিবিআর-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এ সিনেমার একটি অ্যাকশন দৃশ্যে যখন জেমস বন্ড এবং ম্যাডেলিন সোয়ান (লিয়া সেডু অভিনীত) ব্লোফেল্ডের ঘাঁটি থেকে পালিয়ে যান, তখন তারা পুরো মাঠটিই উড়িয়ে দেন। এতে ৮ হাজার ৪১৮ লিটার কেরোসিন খরচ হয়েছিল। সিনেমার ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় পর্দার বিস্ফোরণ। এই দৃশ্যের শুটিংয়ে কী ধরণের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে কিংবা কী পরিমান অর্থ ব্যয় হয়েছে সেটা অনেকেরই অজানা।
স্যাম মেন্ডেস পরিচালিত ‘স্পেকটার’ সিনেমাটিতে এমআই-৬ এজেন্ট জেমস বন্ড (ড্যানিয়েল ক্রেগ) এর সাহসী অভিযানের কাহিনী রয়েছে, যিনি একটি রহস্যময় বার্তা পাওয়ার পর মেক্সিকো সিটিতে ভ্রমণ করে। যখন তিনি স্পেকটার নামক একটি আন্তর্জাতিক অপরাধী সংগঠন সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন তার প্রাক্তন প্রতিপক্ষের মেয়ে ডক্টর ম্যাডেলিন সোয়ান (লিয়া সেডু) কে ট্র্যাক করে তার সাহায্য চাওয়ার চেষ্টা করেন। মিশনের গভীরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্পেকটারের পিছনের মূল পরিকল্পনাকারী আর্নস্ট স্ট্যাভ্রো ব্লোফেল্ড (ক্রিস্টোফ ওয়াল্টজ)-এর সঙ্গে একটি বিশেষ সংযোগ সম্পর্কে জানতে পারেন। এ সিনেমায় আরও আছেন বেন হুইশ, নাওমি হ্যারিস, ডেভ বাতিস্তা, মনিকা বেলুচ্চি এবং রাল্ফ ফিয়েনস।
রিভিউ অ্যাগ্রিগেশন ওয়েবসাইট রটেন টমেটোসের মতে, স্পেকটার সমালোচকদের কাছ থেকে ৬৩% এবং দর্শকদের কাছ থেকে ৬১% রেটিং পেয়েছে। আইএমডিবিতে, সিনেমাটির ব্যবহারকারী রেটিং ৬.৮/১০। এটি সেরা রেটেড বন্ড সিনেমা নয়, তবে এটি এখনও অ্যাকশন মুভিপ্রেমী এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ভক্তদের জন্য অবশ্যই দেখার মতো। সিনেমাটি বক্স অফিসে একটি বড় হিট ছিল এবং বিশ্বব্যাপী ৮৮০ মিলিয়নেরও বেশি মার্কিন ডলার আয় করেছে। তাছাড়া স্পেকটারের থিম সং ‘রাইটিং’স অন দ্য ওয়াল’ সেরা মৌলিক গান বিভাগে অস্কার পুরষ্কার এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরষ্কার জিতেছে।
এদিকে টম ক্রুজের মিশন ইম্পসিবল সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য ফাইনাল রিকনিং’ বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে ২১ মে। সিনেমাটির চলতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়েছে। এ সিনেমায় বিমানের ডানা ধরে ঝুলতে দেখা যাবে টমকে।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।