
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নির্মাণসামগ্রীর দাম চড়া, উন্নয়ন প্রকল্পে ধীরগতি

৯৩৭৭ কোটি টাকা ঋণ অবলোপন ৪ বছরে

পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সিমেন্টের দামও সিন্ডিকেটের কব্জায় রডের বাজার

‘ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমছে ১০ শতাংশ’

তেলের দাম কমবে কিনা প্রশ্নে যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী

রশিদ ছাড়া শুক্রবার থেকে তেল কেনাবেচা বন্ধ

ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকা বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল
ভোজ্যতেলের দাম লিটারে বাড়ল ৮ টাকা আগে থেকেই বেশি দরে কিনছেন ভোক্তা

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের ৭ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিনের দাম ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
পাশাপাশি পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ৩৫ টাকা এবং লিটারে পাম তেল ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে, যা আজ থেকে কার্যকর হবে।
রোববার বিকালে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
রোববার নতুন করে দাম নির্ধারণ করা হলেও সরকারি হিসাব বলছে, নতুন করে দাম বাড়ানোর এক সপ্তাহ আগে থেকেই ৭ টাকা বাড়তি দরে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে।
সর্বশেষ গত বছরের ১৯ অক্টোবরে সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা ছিল।
বোতলজাত সয়াবিনের ৫ লিটারের দাম ৭৬০ ও পাম তেলের দাম প্রতি লিটার ১১৮ টাকা নির্ধারণ করে। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮ টাকা বেড়ে ১৬৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বেড়ে ১৪৩ টাকা করা হয়েছে।
পাশাপাশি বোতলজাত সয়াবিনের ৫ লিটারের দাম ৩৫ টাকা বেড়ে ৭৯৫ টাকা ও প্রতিলিটার পাম ওয়েলের দাম ১৫ টাকা বেড়ে ১৩৩ টাকা করা হয়েছে।
কিন্তু খোদ সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, গত এক সপ্তাহ ধরে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর পাম অয়েল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরকারি হিসাবে সরকারের পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর আগে ব্যবসায়ীরা খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ৭ টাকা ও পাম অয়েল ৩ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে।
এ ছাড়া খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন সর্বোচ্চ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরকারের নতুন করে দাম সমন্বয় করার আগেই ৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
এর আগে ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের পর প্রথমবার ৬ জানুয়ারি বৈঠকে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে না বলে সিদ্ধান্ত দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
তারপরও সে সময় রাজধানীর খুচরা বাজারে এক দিনের ব্যবধানে লিটারে ২ থেকে ৫ টাকা বাড়তি দরে ভোজ্যতেল বিক্রি হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে ১৫ দিনে তেলের দাম বাড়ানো যাবে না।
কিন্তু তখন এক দিনের ব্যবধানে লিটারে সর্বোচ্চ ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ভোজ্যতলে। সে সময় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ৩-৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৪৮ টাকা।
২৭ জানুয়ারি রাজধানীর খুচরা বাজারে লিটারে আরেক দফা ২-৫ টাকা বাড়ে। তিন ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়।
খুচরা বাজারে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ৭৮০-৮০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৭৬৫-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ১৯ জানুয়ারি তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছিলাম। তখন দেখা গেল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার ফলে এটা অ্যাডজাস্ট করা দরকার।
ব্যবসায়ীদেরও কথা ছিল যে এটা অ্যাডজাস্ট না করলে তারা এলসি খুলতে পারবে না, লস হবে। তাদের হিসাবে ১৯ তারিখই ২০০ কোটি টাকা লস হয়েছে।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।