
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণের পর নারী মেম্বরকে হত্যা করেন লতিফ

আমাকে মৃত ভেবে চলে যায় সন্ত্রাসীরা

উখিয়ায় ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দিত তারা

নেই অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, গ্রেফতার ৫
ভারতে নিয়ে ১৫ লাখ টাকায় কিডনি বিক্রি করতেন তারা

বাংলাদেশ থেকে কিডনি সংগ্রহ করে ভারতে নিয়ে ১৫-২০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হতো। এ কাজে জড়িত আন্তর্জাতিক চক্র। মূলহোতাসহ চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর খুলশী থানাধীন ভারতীয় ভিসা অফিসের সামনে অভিযান চালিয়ে কিডনি ও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচারে জড়িত আন্তর্জাতিক চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানাধীন মো. মতিউর রহমান শেখ এর ছেলে মোহাম্মদ আলী ডালিম (৩৫), কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. আতিকুর রহমান রনি (৩৬) ও মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মৃত মুজিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মো. আলম হোসেন (৩৮)। গ্রেফতারকৃতরা ফেসবুকে পেজ খুলে কিডনি, লিভারসহ শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেনা-বেচা করে থাকে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা সাইফুল ইসলাম নামে একজন অসহায় লোককে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় কিডনি বিক্রিতে উদ্বুদ্ধ করছে। তাকে ইন্ডিয়াতে পাচার করার জন্য আসামিরা তার পাসর্পোটে ভিসা লাগানোর কাজে সহযোগিতায় ব্যস্ত ছিল। এসময় তাদের হাতে-নাতে আটক করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে একজন ভিকটিম ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট জব্দ করা হয়। চক্রটি এই পর্যন্ত প্রায় ৩০-৪০ জন লোককে প্রলুব্ধ করে অবৈধভাবে কিডনি ও লিভার দেবার জন্য ভারতে পাচার করেছে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবাছার বলেন, গ্রেফতার আতিকুর রহমান রনি আন্তর্জাতিক কিডনি ও লিভার পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। বাংলাদেশে এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা ডালিম। ইন্ডিয়াতে অবস্থান করে শাহিন নামে একজন বাংলাদেশি রনি, আলমদের মাধ্যমে কিডনি ও লিভারের ডোনার সংগ্রহ করে তাদেরকে ইন্ডিয়াতে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করে। এ ক্ষেত্রে ডোনারদের তারা ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ইন্ডিয়ায় ডোনারদের সঙ্গে রোগীদের রক্ত, কিডনি ও লিভার ক্রস ম্যাস করিয়ে থাকেন। শুধু কিডনির ও লিভারের জন্য চক্রটি রোগীদের নিকট থেকে ১৫-২০ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন। ডোনার পাওয়ার পর ওই চক্রের সদস্যরাই তাদের পাসপোর্ট ও ইন্ডিয়ান ভিসা লাগানোর ব্যবস্থা করে দেন। অতঃপর ঢাকার একটি হাসপাতালে তাদের রক্ত, কিডনি ও লিভার পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট ঠিক থাকলে ওই লোকদেরকে তারা ইন্ডিয়াতে পাচার করা হয়।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।