
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণের পর নারী মেম্বরকে হত্যা করেন লতিফ

আমাকে মৃত ভেবে চলে যায় সন্ত্রাসীরা

উখিয়ায় ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দিত তারা

প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, গ্রেফতার ৫

নাপা সিরাপে নয়, মায়ের পরকীয়ার জেরে ২ শিশুকে হত্যা!
নেই অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধাপের ১৩টি শিক্ষক পদও খালি রয়েছে কলেজটিতে। ফলে শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের প্রয়োজনীয় তথ্য হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে না থাকায় কলেজের শিক্ষক, কমকর্তা ও কর্মচারীরা ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন-ভাতা তুলেন ১৫ মার্চের পর। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। তারা বলছেন, পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকলে বেতনের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের এ জটিলতায় পড়তে হতো না।
অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষক নিয়োগদানের জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, শিক্ষক সংকটের কারণে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে অধ্যক্ষের পদ শূন্য হয়। ওই সময় উপাধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ মহসীন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এক বছর আট মাস পর ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কলেজে মো. আব্দুল হাকিমকে অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হলে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদ পূর্ণ থাকে। কিন্তু মাত্র ২ মাস ২০ দিন পরে আবারো অধ্যক্ষের পদ শূন্য হলে উপাধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ মহসীন পুনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
এ বছরের ৩১ জানুয়ারি উপাধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত অবস্থায় চাকরি থেকে অবসরকালীন ছুটিতে গেলে কলেজটির উপাধ্যক্ষের পদটিও শূন্য হয়। উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষের পদ একই দিনে শূন্য হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্টানের চাকরি-বিধি অনুযায়ী কলেজের সর্ব জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. ফজলুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। কিন্তু ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন মহলে নানা সমালোচনা।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ কলেজটির ৪৭টি পদের বিপরীতে ভারপ্রাপ্ত-অধ্যক্ষসহ ৩৪ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে গণিত, দর্শন ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগে মাত্র ১ জন, বাংলা, অর্থনীতি ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে মাত্র ২ জন শিক্ষক রয়েছেন। কলেজের শিক্ষক সংকটের কারণে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি ও অনার্স কোর্সের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজের গতি ফিরে আনতে হলে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষক সংকটের কারণে কলেজ পাঠদানে অনেক পিছিয়ে আছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আপনারা তদন্ত করে দেখতে পারেন। আমি মন্তব্য করছি না।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ফজলুর রহমান বলেন, যত তাড়াতাড়ি এখানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শূন্য পদে নিয়োগদান হবে। ফলে কলেজের সামগ্রিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে। তার বিরুদ্ধে অনৈতিক অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের ভালো লেখাপড়ার পরামর্শ দেওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে তাদের ডাকি। এর বাহিরে কিছু না।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল কবির চৌধুরী বলেন, কম সময়ের মধ্যে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তদন্ত করে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।