
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণের পর নারী মেম্বরকে হত্যা করেন লতিফ

আমাকে মৃত ভেবে চলে যায় সন্ত্রাসীরা

উখিয়ায় ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

নেই অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, গ্রেফতার ৫

নাপা সিরাপে নয়, মায়ের পরকীয়ার জেরে ২ শিশুকে হত্যা!
জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দিত তারা

রাজধানীর মালিবাগ, বাসাবো, শাহজাহনপুর ও কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গতকাল (সোমবার) পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এরা একটি জালিয়াত চক্র। প্রতিদিন বিআরটিএ এবং নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে এরা টার্গেটে থাকত। তারা মূলত জাল জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দিত। তাদের প্রধান টার্গেট বাইক রাইডাররা। এছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, রোহিঙ্গারাও এই চক্রের কাছ থেকে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করত বলে র্যাব প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।
গ্রেফতার করা এই চক্রের সদস্যরা হলেন- গোলাম মোস্তফা (৬০), জালাল বাশার (৫৪), মুসলিম উদ্দিন (৬৫), মিনারুল ইসলাম মিন্নি (২২) এবং তারেক মৃধা (২১)।
তাদের গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার কারওয়ানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সেখানে এই চক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা এমনভাবে এসব কার্ড তৈরি করত, প্রাথমিকভাবে ধরার কোনো সুযোগ থাকত না।’
মঈন জানান, ‘গোলাম মোস্তফা এই চক্রের হোতা। গত এক যুগ ধরে তিনি এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে আসছেন। এ ছাড়া এদের আরেক সক্রিয় সদস্য বর্তমানে ওমরা করতে দেশের বাইরে রয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই চক্রের সদস্যরা প্রতিদিন বিআরটিএ এবং নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে থাকত এবং লোকজনকে ‘টার্গেট’ করে তাদের কারবার চালাত। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তারা প্রচার চালাত- তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেলের নজরে আসে। পরে অনুসন্ধান শুরু করে র্যাব। এরপর চক্রটিকে গ্রেফতারে মাঠে নামেন র্যাব সদস্যরা।
র্যাব কমান্ডার বলেন, ‘যারা দ্রুত চাইতেন, তাদের টার্গেট করে অবস্থাভেদে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স দিত এই চক্রটি। অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারের বাইক চালকরা এই চক্রের প্রধান গ্রাহক।তাদের ফাঁদে পড়ে অনেকে প্রতারিত হলেও করার কিছু ছিল না। আবার অনেকে জেনে শুনে টাকা দিয়ে দ্রুত এসব জাল কাগজ সংগ্রহ করত।’
তিনি বলেন, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে এসব কার্ড সরবরাহ করত চক্রটি। মাসে ৩০ থেকে ৫০টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স তারা সরবরাহ করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন গোলাম মোস্তফা।
আল মঈন আরও বলেন, গোলাম মোস্তফা এইচএসসি পাশ। তিনি এক্সরে মেশিনের টেকনিশিয়ান। ২০১০ সালের দিকে তিনি ‘প্রতারণার ব্যবসায়’ জড়িয়ে পড়েন।একই অপরাধে বহুবার তিনি জেলও খেটেছেন। চক্রের সদস্যদের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিতেন তিনি। কয়েক বছর পরপর সদস্যদের পরিবর্তন করতেন মোস্তফা।’
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।