
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেওয়া নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, এলাকা রণক্ষেত্র

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু: জয়

আলো নিভিয়ে একাত্তরের কালরাত স্মরণ করল বাংলাদেশ

স্বাধীনতা আমাদের স্বাধীনতা

আইনি বাধায় আটকে আছে রাজাকারের তালিকা

ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ভারসাম্যপূর্ণ আচরণের প্রশংসায় রাশিয়া
চোখের সামনেই পুড়ে মরল মেয়ে, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ শ্বশুর

ক্যান্সার আক্রান্ত শ্বশুরকে ডাক্তার দেখাতে মেয়ে তাইফা আফরিনকে (১০) সঙ্গে নিয়ে ঢাকা গিয়েছিলেন বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামের বশির উদ্দিন।
কিন্তু ঢাকা থেকে ফেরার পথে এমভি অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লাগে। ঘটনার সময় জীবন বাঁচাতে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেন তাইফার নানা। তাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাইফার বাবা ও তাইফা লঞ্চের ডেকে আটকে পড়েন। তাইফা অগ্নিদগ্ধ হয়ে লঞ্চেই মারা যায়, তার বাবা বশির গুরুতর দগ্ধ হন। বর্তমানে তাইফার বাবা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় রাজধানী থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসছিল লঞ্চটি। তাইফার স্বজনরা জানান, তাইফার নানা আলী শিকদার ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় অবস্থান করছিল তাইফা ও তার বাবা বশির। ডাক্তার দেখানো শেষ হলে বৃহস্পতিবার বিকালে সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে চড়েন তারা। লঞ্চটি ঘাট থেকে ছেড়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে এলে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু এবং আহত হয়ে অন্তত ৭০ জন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।