ভারত থেকে আমদানি পন্যবাহী ট্রাকগুলিকে বাংলাদেশে প্রবেশের সিরিয়ালের নামে ঘোজাডাঙা বন্দরে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে মানববন্ধন ওকর্মবিরতি পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে মানববন্ধন ও কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এই চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান । এই দাবি না মানলে বৃহত্তর কর্মসূচী দিয়ে দুই দেশের আমদানি রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার হবে বলে ঘোষনা দেন তারা। ভোমরা সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, ব্যাবসায়ী রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মোঃ মিজানুর রহমান, দীপংকর ঘোষ, মোঃ আমির হামজা, পরিতোষ ঘোষ, শহীদুল ইসলাম সহ স্থলবন্দরের সকল ব্যবসায়ী ও কর্মচারীবৃন্দ । এসময় তারা বলেন,প্রতিদিন গড়ে ৩০০ ভারতীয় পন্যবাহী গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভোমরার বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের বেসরকারি পার্কিং ইয়ার্ডে সিরিয়ালের নামে বিভিন্ন পন্য বিবেচনায় গাড়িপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে তাদেরকে ৩০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়। যারা এই চাঁদা পরিশোধ করে তারা অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের ভোমরা বন্দরে আসতে পারে আর না হলে আসতে পারেনা । বক্তরা আরো বলেন, এই চাঁদাবাজি এবং সময়ক্ষেপনের কারনে বাংলাদেশে আমদানিকৃত পন্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া পচনশীল পন্যও ক্ষতির মুখে পড়ছে। এতে ব্যবসায়ী মহল সহ ক্রেতাসাধারন ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেক আমদানিকারক ঘোজাডাঙা বন্দর ত্যাগ করে ভারতের অন্য কোন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পন্য আমদানির চেষ্টা করছে। এ কারনে ভোমরা স্থল বন্দরে রাজস্ব ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। অতিবিলম্বে এই চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে রোববার ৩ ঘন্টা, সোমবার ৪ ঘন্টা এবং মঙ্গলবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে ভোমরা ঘোজাডাঙা বন্দরে আমদানি রফতানি বন্দ করে দেওয়া হবে।