
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৬০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ডায়রিয়া রোগীর রেকর্ড আইসিডিডিআর,বিতে

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী করবেন?

ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণ, কী করবেন?

বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর ৫ গুণ অ্যান্টিবডি : গবেষণা

ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে যেসব খাবার খাবেন

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাথাব্যথা করণীয়

বাংলাদেশে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা উদ্বেগ জনক হারে বাড়ছে
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের প্রাকৃতিক উপায়

এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আজকাল নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত ঝাল মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ ও মদ্যপানের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এছাড়া বাইরের খাবার খাওয়া ও অতিমাত্রায় ফাস্টফুডে আসক্তির কারণে গ্যাস্টিক সমস্যা বাড়ছে।
গ্যাস্টিকের লক্ষণ:
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে খিদে কম পায়, পেটে গ্যাস হয়, বুক জ্বালা করে ও পেটের মাঝখানে চিনচিন ব্যথা, বুক ও পেটে চাপ অনুভূত, হজমে অসুবিধা এবং বমি হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেশি হলে সবাই কম বেশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেয়ে থাকেন হয়তো। বিশেষজ্ঞের মতে, ওমিপ্রাজলজাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বছরের পর বছর খাওয়া বিপজ্জনক। এতে পাকস্থলীর পিএইচ পরিবর্তিত হয়ে যায়, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
তবে আপনি জানেন কি- ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?
অনেকেরই দেখা যায় সকালের খাবার দুপুরে, দুপুরের খাবার বিকালে বা রাতে, রাতের খাবার অনেক দেরিতে বা গভীর রাতে অর্থাৎ সঠিক নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়ার ফলে এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়। সেজন্য অবশ্যই নিয়মিত প্রতিবেলার খাবার গ্রহণ করতে হবে।
একবারে পেট ভরে খাবার খাবেন না, ইসলাম ধর্মেও কিন্তু আছে পাকস্থলি পুরো ভরে না খাওয়া, পাকস্থলি তিন ভাগের এক ভাগ খাবার দিয়ে পূর্ণ করতে হবে, বাকি দুইভাগের একভাগ থাকবে পানি আর একভাগ খালি থাকবে। এই নিয়মটি যদি আমরা মেনে চলার চেষ্টা করি তাহলে কিন্তু আমরা এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
একবারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে অল্প অল্প করে বারবার খাবার গ্রহণ করুন।
এক দিনে তিনবার প্রধান খাবার গ্রহণের মধ্যে ২-৩ বার স্ন্যাকসজাতীয় হালকা খাবার রাখুন।
অতিরিক্ত তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত ঝালজাতীয় খাবার এছাড়াও কারো কারো শাকজাতীয় খাবার খেলে আবার কারো কারো দুধ খেলে দেখা যায় এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা। তাই চিহ্নিত করুন আপনার কোন খাবারটি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে; খাদ্যতালিকা থেকে সেটি বর্জন করার চেষ্টা করুন।
কার্বোনেটেডজাতীয় পানীয় যেমন নানা প্রকার সফট ড্রিংকস পান করা থেকে বিরত থাকুন।
সব সময় চেষ্টা করবেন খাবার চিবিয়ে খাওয়ার। এতে খাবার সঠিকভাবে হজম হবে, সঠিক পুষ্টি পাবেন এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
খাবার খাওয়া শেষে বসে না থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটা চলাফেরা করুন। তাতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
লেখক: পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ
গুলশান ডায়াবেটিক কেয়ার
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।