
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেওয়া নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, এলাকা রণক্ষেত্র

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু: জয়

আলো নিভিয়ে একাত্তরের কালরাত স্মরণ করল বাংলাদেশ

স্বাধীনতা আমাদের স্বাধীনতা

আইনি বাধায় আটকে আছে রাজাকারের তালিকা

ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ভারসাম্যপূর্ণ আচরণের প্রশংসায় রাশিয়া
উচ্চশিক্ষায় আমেরিকা যাওয়ায় ঝর্ণার পরিবারকে ‘সমাজচ্যুত’!

উচ্চশিক্ষায় আমেরিকায় গিয়ে ছোট ছোট কাপড়-চোপড় পরেন এবং সেখানে এক হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করেছেন- এমন অভিযোগ তুলে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ‘একঘরে’ বা ‘সমাজচ্যুত’করে দেওয়া হয়েছে নুরুননাহার চৌধুরী ওরফে ঝর্ণা চৌধুরী নামে এক শিক্ষার্থীর পরিবারকে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে কুলাউড়ার ভাটেরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে। এ বিষয়ে সোমবার কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উচ্চশিক্ষার জন্য গত ২৬ ডিসেম্বর আমেরিকায় যান ঝর্ণা চৌধুরী। ২৭ ডিসেম্বর থেকে স্থানীয় একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে নানা কুৎসা রটান। এরপর ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার স্থানীয় ভাটেরা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটি ঝর্ণার বাবা আব্দুল হাই চৌধুরী গুলাবের বিরুদ্ধে সালিশ বৈঠক ডাকেন। কিন্তু তিনি গুরুতর অসুস্থ থাকায় বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি ঝর্ণার বাবা গুলাব। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মাখন মিয়া ও সম্পাদক আমিন মিয়ার নির্দেশে তাদের একঘরে করে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ঝর্ণা চৌধুরী বলেন, উচ্চশিক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্রে আসাকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু অতিউৎসাহী মানুষ স্থানীয় মসজিদে আমাকে নিয়ে বিচার ডাকেন। আমার বাবাকে সেই বিচারে উপস্থিত হতে বলেন। কিন্তু ৭০ বছর বয়সী আমার বাবার ইতোমধ্যে তিনবার মিনি স্ট্রোক করেছেন। ডাক্তার বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি তার আবার ডিমেনশিয়া (ভুলে যাওয়ার অসুখ) ধরা পড়েছে। তিনি বিচারে না যাওয়ায় আমার পরিবারকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছে।
এ খবর পেয়ে আমি মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আমিন মিয়াকে জিজ্ঞেস করি আমার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? জবাবে তিনি বলেন, আমি আমেরিকায় গিয়ে আমার এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী একজনকে বিয়ে করেছি; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাছাড়া আমার বাবা কেন তাদের নির্দেশ মানেননি, তাই আমার পরিবারকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা মিথ্যা। সামান্য বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে। সেখানে তাদের উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। তাছাড়া ওসি, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি ঝর্ণার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।