
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

কলম্বোতে কারফিউ জারি

টিকে থাকার লড়াইয়ে ছক্কা হাকাতে পারবেন ইমরান খান?

এবার ইয়েমেনে পাল্টা হামলা চালাল সৌদি জোট

সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র রপ্তানি করেছে মোদি সরকার

ইউক্রেনকে বিপুল ক্ষেপণাস্ত্র ও মেশিনগান দিয়েছে জার্মানি

ইউরোপের গ্যাসের চাহিদা সত্যিই কি মেটাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র?

ইউক্রেনে এবার গম-ভুট্টা চাষ হবে কিনা সন্দেহ!
অহেতুক ভীতি না ছড়ানোর আহ্বান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের
ইউক্রেনে সেনা পাঠাচ্ছেন বাইডেন
রাশিয়ার আক্রমণ হবে ভয়াবহ : মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলি * রক্তপাত এড়াতে পুতিনকে পিছু হটার আহ্বান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তারা কূটনৈতিক সমাধানেই জোর দিচ্ছেন। কিন্তু সামরিক পথেই হাঁটছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার মোকাবিলায় ইতোমধ্যে ভারী সব অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছেন। এবার সেনা পাঠাচ্ছেন। শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পূর্ব ইউরোপ ও ন্যাটোর দেশগুলোতে আমি স্বল্পসংখ্যক সেনা পাঠাচ্ছি।
হোয়াইট হাউজ বলেছে, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর শক্তি বাড়াতে শিগগিরই স্বল্পসংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হবে। এদিকে চলমান উত্তেজনা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে অহেতুক ভীতি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জিলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ভীতি ছড়ানোয় তার দেশের অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা ও অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। তবে দেশটির কর্মকর্তারা বারবারই বলছেন, প্রতিবেশী দেশটিতে হামলা করতে চান না তারা। তবে পশ্চিমা বিশ্ব ও গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে মস্কো। এর ফলে প্রচণ্ড ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ইউক্রেনীয় জনগণ। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাজধানী কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জিলেনস্কি বলেন, ‘পশ্চিমের কয়েকটি দেশের সম্মানিত নেতারা এমনভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন, যেন আগামীকালই ইউক্রেনে হামলা ঘটবে। তাদের এই বিষয়ক বক্তব্য, উদ্বেগ-সতর্কবার্তার ফলে ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে আমাদের কতটা মূল্য দিতে হবে? দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থার জন্য এই ভীতি খুবই ক্ষতিকর।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেবল সেনা উপস্থিতি থাকলেই খুব শিগগির আগ্রাসন হতে পারে, আমরা এমনটা মনে করছি না।’ যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই পশ্চিম ইউরোপে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। এখন উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব ইউরোপে সেনা পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করছে পেন্টাগন। ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র মোট ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করতে চায়। চলতি সপ্তাহে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ন্যাটোকে সহায়তা করতে সম্ভাব্য মোতায়েনের জন্য সাড়ে আট হাজার সৈন্যকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্ব গণমাধ্যমে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব^। পশ্চিমাদের দাবি, রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। এ সংঘাত ঠেকাতে এরই মধ্যে পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছেন ন্যাটো সদস্যরা। অস্ত্র হাতে প্রস্তুত হচ্ছে ইউক্রেনের সাধারণত মানুষও। ফলে গোটা বিশ্বের নজর এখন সাবেক সোভিয়েত দেশটিতে। মস্কোর দাবি, ওয়ারশ চুক্তির আগে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক উপস্থিত যেমন ছিল সে অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। রুশ সীমান্তে আক্রমণাত্মক অস্ত্র মোতায়েন করা যাবে না। ইউক্রেনের ন্যাটোয় যোগদানের পথ চিরতরে বন্ধ করতে হবে। তবে রাশিয়ার এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্রেমলিন অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর জবাবে রাশিয়ার প্রধান উদ্বেগকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চালাবে কিনা অথবা করে বসলে তা কোন পর্যায়ের হতে পারে-এ নিয়ে পশ্চিমা দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তারা নানাভাবে আভাস দিচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মার্কিন শীর্ষ জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ হবে ‘ভয়াবহ’। ফলে বহু মানুষ হতাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। এদিকে ইউক্রেন সংকটের অবসানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউরোপের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি প্রশমনে আগামী সপ্তাহে ইউক্রেন সফরে যাবেন তিনি। ইউক্রেন সংকটে রক্তপাত এড়াতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।