
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

গ্রেফতারের আগে যা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু

ফের তৎপর সেই সিন্ডিকেট রোজানির্ভর ৬ পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া

রিফাইনারিতে কারসাজি

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন

বিশ্ব যৌন নিপীড়ন বিরোধী দিবস ‘এই সামাজিক ব্যাধি থেকে উওরণের উপায়

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন গেস্টরুম অপসংস্কৃতির অবসান জরুরি

অগ্নিঝরা মার্চ
অনশনের অবসান, এবার শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হোক

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে অনশন করার পর বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের অনুরোধে অনশন ভেঙেছেন ২৮ শিক্ষার্থী।
বুধবার সকালে শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙিয়েছেন এই শিক্ষক দম্পতি। প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হবে-সরকারের ওপর মহলের এমন আশ্বাসের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানো হয়। তবে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার ঘটনাটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো খবর। অনশনরত অবস্থায় অনেক শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল, কাউকে কাউকে হাসপাতালে স্থানান্তর পর্যন্ত করতে হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, শিক্ষার্থীরা তো অনশন ভাঙলেন, তাদের দাবি-দাওয়ার কী হবে?
শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন, তা এতদূর গড়ানোর কথা ছিল না। তাদের দাবি-দাওয়াগুলো প্রাথমিক অবস্থায় মেনে নিলেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যেত। কিন্তু তা হয়নি। উলটো একবার ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে, আরেকবার তারা শিকার হয়েছেন পুলিশি আক্রমণের। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন সুনির্দিষ্ট আশ্বাসের ভিত্তিতেই। অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেছেন, তাকে সরকারের উচ্চ মহল কথা দিয়েছে যে, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। এখন দেখা যাক সরকার সে কথা রাখে কিনা। জাফর ইকবাল আরও বলেছেন, সরকার যদি কথা না রাখে, তাহলে বুঝতে হবে শুধু ছাত্রদের বা তার সঙ্গে নয়, দেশের সব প্রগতিশীল মানুষের সঙ্গেই সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
আমরা আশা করব, যে আশ্বাসের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন, তা যেন রক্ষা করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অবশ্য বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। বলা বাহুল্য, সব দাবি মেনে নেওয়া মানে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও মেনে নেওয়া।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতিদান দেওয়া হবে। এখন দেখা যাক উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টির কীভাবে ফয়সালা হয়। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকার তাকে অপসারণ করবে-সেটাই এখন দেখার বিষয়। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেক হয়েছে, আর নয়। অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরে আসবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনে ফিরে আসবেন-এটাই সবার প্রত্যাশা।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।